এয়ারপোর্ট লাউন্জের সোফায় গা এলিয়ে অপেক্ষা,
সামনে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ;
অপেক্ষার মুহুর্ত্তগুলো অধীরতায় দীর্ঘ তবু, আরামের উষ্ণতায় মোড়া।
ভ্রমণের উৎসুক রোমাঞ্চে গা ঘেঁসে বসা আমার কিশোরী মেয়ে;
কৃত্রিম শীতলতার মাঝে তার গায়ের ওম ছুঁয়ে থাকে আমায় এক নামহীন পরিপূর্ণতায়।
সময় হয়ে এসেছে উড়ানের, তাই তড়িঘড়ি একবার টয়লেট ঘুরে আসা -
সকন্যা এগোই ।
'মেয়ে আপনার?' আয়নায় নিজেকে মেপে নিতে নিতে আলগোছে দেখে নিই প্রশ্নকত্রী সাফাই কর্মীনিকে।
দায়সারা সম্মতি জানিয়ে তাড়া দিই মেয়েকে;
'ভারি সুন্দর, মাশাল্লাহ্ִ; সুখী হোক ' -
এবারে ভালো করে তাকাই খাকি পোশাকের মধ্যবয়সী মহিলার দিকে।
নামহীন চরিত্রের আকস্মিক বাচালতায় জাগে অনভ্যস্ত বিস্ময়।
'আমারো একটা মেয়ে, এবার স্কুল বোর্ডে ভালো রেজাল্ট করেছে',
শ্যামলা মুখ খুশিতে উজ্জ্বল।
শুনে সৌজন্যের বাঁধা বুলি আওড়াই দরজার দিকে পা বাড়িয়ে।
'মেয়েটাকে কোনোদিন কাছে পাইনি জানেন, সেই দেড় বছর বয়স থেকেই কোলছাড়া, থাকে দেশের বাড়িতে;
স্বামী চলে গেলেন অ্যাক্সিডেন্টে, কি করি বলুন চাকরী করতে আসতে হোল শহরে;
মা মেয়ে একসাথে দেখলে তাই বড় ভাল লাগে'।
নিজের অজান্তেই ঘুরে দাঁড়াই; স্নেহাতুর নরম মুখে দুখানি ভিজে চোখ লবনাক্ত করে আমার ঠোঁট, জিভ;
এক অব্যক্ত মোচড়ে বুঁজে আসে গলা।
চলতি পথের এক নামহীনা চরিত্রে খুঁজে পাই আমার মাতৃহৃদয়ের প্রতিবিম্ব।
***
সামনে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ;
অপেক্ষার মুহুর্ত্তগুলো অধীরতায় দীর্ঘ তবু, আরামের উষ্ণতায় মোড়া।
ভ্রমণের উৎসুক রোমাঞ্চে গা ঘেঁসে বসা আমার কিশোরী মেয়ে;
কৃত্রিম শীতলতার মাঝে তার গায়ের ওম ছুঁয়ে থাকে আমায় এক নামহীন পরিপূর্ণতায়।
সময় হয়ে এসেছে উড়ানের, তাই তড়িঘড়ি একবার টয়লেট ঘুরে আসা -
সকন্যা এগোই ।
'মেয়ে আপনার?' আয়নায় নিজেকে মেপে নিতে নিতে আলগোছে দেখে নিই প্রশ্নকত্রী সাফাই কর্মীনিকে।
দায়সারা সম্মতি জানিয়ে তাড়া দিই মেয়েকে;
'ভারি সুন্দর, মাশাল্লাহ্ִ; সুখী হোক ' -
এবারে ভালো করে তাকাই খাকি পোশাকের মধ্যবয়সী মহিলার দিকে।
নামহীন চরিত্রের আকস্মিক বাচালতায় জাগে অনভ্যস্ত বিস্ময়।
'আমারো একটা মেয়ে, এবার স্কুল বোর্ডে ভালো রেজাল্ট করেছে',
শ্যামলা মুখ খুশিতে উজ্জ্বল।
শুনে সৌজন্যের বাঁধা বুলি আওড়াই দরজার দিকে পা বাড়িয়ে।
'মেয়েটাকে কোনোদিন কাছে পাইনি জানেন, সেই দেড় বছর বয়স থেকেই কোলছাড়া, থাকে দেশের বাড়িতে;
স্বামী চলে গেলেন অ্যাক্সিডেন্টে, কি করি বলুন চাকরী করতে আসতে হোল শহরে;
মা মেয়ে একসাথে দেখলে তাই বড় ভাল লাগে'।
নিজের অজান্তেই ঘুরে দাঁড়াই; স্নেহাতুর নরম মুখে দুখানি ভিজে চোখ লবনাক্ত করে আমার ঠোঁট, জিভ;
এক অব্যক্ত মোচড়ে বুঁজে আসে গলা।
চলতি পথের এক নামহীনা চরিত্রে খুঁজে পাই আমার মাতৃহৃদয়ের প্রতিবিম্ব।
***