সকাল সকাল ঘন হয়ে এসেছে আকাশ, বারান্দার পাশের কৃষ্ণচূড়া
আদুরে বাতাসে টলমল;
ব্যস্ত পায়ে বন্ধ করছি দরজার কাঁচ – কি যে হোল,
চোখ ফেরতে পারলাম না, কাজ ফেলে বেরিয়ে এলাম।
এলোঝেলো বৃষ্টির ছিটের মায়াবী স্পর্শ মেখে,আমি বসে থাকি
বিমূঢ় মুগ্ধতায়;
কোন সে মোহনিয়া সুরে বশীভূত মন আমার।
ভরা শ্রাবণ, বৃষ্টি যে নিত্যসঙ্গী, এমন কাজ ভোলানো উচাটন
হয়নি তো আগে!
মনে পড়ে গেলো, আজ ঝুলন।
আবছায়া স্বপ্নের মত মনে পড়ে সেই বর্ষণ স্নাত আর্দ্র অপরাহ্ন,
গোধূলী বেলার আবির বুঝিবা কিছুটা ধুসর,ছায়াঘন মাধবী বিতান;
আনমনা মেয়েটি একা বসে, গাছে বাঁধা দোলনায়, সাথী নেই কেউ আর।
আলোগোছা বেণীতে জুঁই ফুল,কপালে সোহাগী সিঁদুর,ঘননীল শাড়ীতে
যমুণার ঢেউ;
কাজল কালো তার দুটি চোখ, বড় মায়াময়।
বিয়ের পর এই প্রথম শ্রাবণে এসেছে বাড়ী, না বাড়ী তো নয় আর,
বাপের বাড়ী,
আনন্দ উচ্ছ্বাসে, আদরে, খাতিরে নিটোল ছিল সারাটা দিন –
তবু কেন এই উদাসী ক্লান্তি, ফাঁক পেয়ে ছুটে আসা বাগানের প্রিয়
কোণটিতে!
দূর থেকে ভেসে আসে বাঁশরীতে মারবা-র তান, সন্ধ্যে ঘনিয়ে এলো
ওই,
রূপোলী জোছনা মেখে ফুলবন স্বপ্ন বাসর;
হালকা বাতাস খেলা করে কপালের ঝুরো চুলে,জমে ওঠা মুক্তাবিন্দু ছলকায় চোখে।
দীর্ঘ ছায়া ফেলে, শান্ত পায়ে কে এসে দাঁড়ালো ওই দোলনার
পাশে!
ভারি সুকুমার হাসিমাখা মুখখানি, আনন্দ মূরতী;
মৃদু দোলা দেয় সে ঝুলনায়, চমকে ফিরে চায় মেয়ে, চেয়েই থাকে
বুঝিবা অনন্তকাল,
সব অভিমাণ ভেসে যায় শ্রাবণ বরিষণে; -
ঝুলন দোলায় দোলে ফেলে আসা কৈশোর, চিরন্তন প্রেমে।
***
©1916 ananyapal ALL RIGHTS
RESERVED
Opurbo. Kanna paoa sur er tan jano bheshe elo kaney
উত্তরমুছুনসত্যি অনন্যা
উত্তরমুছুনআৰ্দ সোনালী দিন মনকে ছুঁয়ে যায় বার বার,
তোমার লেখায় যে উন্মাদনা, নিয়ে গেছে অনেক দূরে
ফেলে আসা কিশোর বেলায়।.
কৰি চির বিজয়িনী হও.
শ্রী
নষ্টালজিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের মিশেলে দারুণ এক কবিতা.....আরও চাই...
উত্তরমুছুন