বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৫

সহচরী

ধারালো ঠোঁট, আর সেই ঠোঁটে কথার ধার আরও বেশি,
সুন্দরী সে নয়, রঙ বেশ কালোই, মুখশ্রীতেও ছাঁদের অভাব;
পূবের বারান্দায় তার সাথে আমার প্রথম আলাপ,
আলাপের শুরুটাও ছেঁড়া তারের ঝঙ্কার, বেসুরো, বেতালা ।

তারপর সময়ের সাথে ঝঙ্কারে জেগেছে কোমল গান্ধার,
নরম রোদে তার মায়াময় চোখ ছুঁয়েছে আমাকে,
আমার সকাল কখন যেন আটকে গেছে ওই বারান্দায় ।

আজ আমি আছি কতদূরে –
এখানেও পূবের বারান্দায় মিঠে রোদের আনাগোনা,
ঘিরে থাকা কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে হরেক পাখীর কলতান;
তবু সেই বারান্দা, সেই একটুকরো রোদ আর সেই মৃদু আলাপন,
আনমনা করে অলস মুহূর্তে,
মনে পরে তাকে, যে আমার নামহীনা বায়স সহচরী ।

(আমার মুম্বাইয়ের বাড়ির বারান্দায় একটি কাক এসে বসতো, আমি সে বাড়িতে থাকতে যাবার আগে বারান্দাটি ছিল তারই সাম্রাজ্য। ফলে স্বভাবতঃই প্রথমদিকে আমার প্রতি তার প্রবল বিরাগ ও ক্রমশ সেখান থেকেএক অদ্ভুত বন্ধুত্বের সূচনা হয়। এই কবিতাটি আমার সেই নামহীনা সহচরীর উদ্দেশ্যে লেখা)।

***