রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

চেনা অচেনা

গনগনে দুপুর মাথায় করে মাল্টিপ্লেক্সের দোরগোরায় কজন ভারিক্কি মহিলা;
লোকে বলবে কটা আধবুড়ি বাড়ি পালিয়ে জুটেছে,
তবে তারা নিজে বলে হাঁসফাঁশে রোজের রুটিনে একটু আরামের নিঃশ্বাস.…
দেখোতো চিনতে পারো কি?


চেহারাগুলো মানি বেশ খানিকটা পাল্টেছে, এসেছে বয়সের মার্জিত প্রসন্নতা;
চুলের ধুসরতা জানান দেয় দায়িত্ববোধের,
চোখের কোনায় কাকের পায়ের ছাপ, সে তো দীর্ঘ সংসার জীবনের বাড়তি পাওনা।


প্রথমে খানিক হাল্কা গল্প গুজব, তার সাথে ছবি তোলা,
তারপরে চলে ভালো থাকার হিসেব নিকেশ।
সময়ের কাঁটা যত এগোয় হাসি চওড়া হয় প্রসন্ন মুখ্গুলোতে;
চোখের দৃষ্টিতে ঝিলিক দেয় প্রায় ভুলে যাওয়া দুষ্টুমি,
ছোটবেলার গল্পে সময় হিসেব হারায়।
বাইরে নেমেছে বাঁধভাঙ্গা বৃষ্টি, তার সুরে বর্ষার আগমনী;
'ভিজবি?' ইশারায় কথা হয়;
ছুপছুপ শব্দ তুলে থৈ থৈ জলে দৌড়ে যায় ওই ওরা.…
এখন চেনা যায় কি দুবেনী ঝোলানো এক ঝাঁক কিশোরীকে?


***






1 টি মন্তব্য: