সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

প্রতীক্ষা

ছোট্ট বুক রোমাঞ্চে দুরুদুরু,
গ্রীলের ফাঁক দিয়ে চেয়ে আছে দুটি সরল চোখ অসীম আশায়;
পুজোর আর কটা দিন বাকি -
অফিস ফেরতা পথে বাবা আনবেন পুজোবার্ষিকী।

গরমের ছুটির নির্জন দুপুরে,
দরজায় কান পেতে থাকা পিওন কাকুর অপেক্ষায়,
আসবে কি আজ চিঠি প্রিয় বান্ধবীর -
কিশোরী মনের উচ্ছাস  যার পাতায় পাতায়?

ফোনের আওয়াজ কানে যেতেই পাদুটো বশে থাকেনা আর,
দৌড়ে গিয়ে রিসিভার তুলে 'হ্যালো'?
এটা মেজমাসী, ফোনটা মায়ের;
পরেরটা ঘোষ কাকু, দরকার বাবার সাথে,
আসে পড়ুয়া বন্ধুর ফোন, অথবা নেহাৎ গল্প বিলাসী।
আশা নিরাশার দোলচালে তবু চলে অনন্ত প্রতীক্ষা,
আজো কি যাবে না শোনা সেই চেনা ডাক - পরবাসীর?


শ্রাবণ ঘন সন্ধ্যা, বাইরে মনকেমন করা চাপচাপ অন্ধকার;
মনের উচ্ছ্বাস তবু বাঁধ মানেনা আর,
বহুদিন পরে আসছে মেয়েটা,
গাড়ীর আওয়াজ হলো কি - এত দেরী কেন?
সময়ের হিসেব হারায় আমার মাতৃহৃদয়ের অধীরতা।


রাত্রি নিশুত, বিছানার পাশে বসে আয়া মেয়েটি ঢুলছে,
আজ কি পূর্ণিমা? রূপোলি জোছনা, জানলার পর্দাকে ফাঁকি দিয়ে আলতো ছুঁয়ে আছে আমায়;
কি শান্তি! এখনো কি হয়নি সময়?
আমি যে পথচেয়ে আছি প্রিয়তম -
চিরমিলনের আশে এ আমার শেষ  প্রতীক্ষা।


@ananyapal2015

1 টি মন্তব্য: