জলের উথাল পাথাল ঢেউ, দাঁড়ের ছুপ ছুপ টানে,
ভেসে চলে নৌকোখানি কিনারার পানে;
পূবের হাওয়ায় দোল দিয়ে যায় আমার ধুসর
চুলে,
আনমনে গান গেয়ে উঠি কখন মনের ভুলে;
সোনা রোদের নরম ওমে আমার গালে রঙ,
চোখ বুজে তার নরম আদর মাখি বহুক্ষণ।
শ্যামলা ঘাটের কোল ছাড়িয়ে দিয়েছি পার
সে কোন যুগে,
পেছন ফিরে চাইতে গেলে, চোখে তারই স্বপন জাগে,
মায়ায় বাঁধে মন।
কাজলা নদীর কালো জলে, নিরুদ্দেশের অচিন নেশা,
নবীন বেলায় করেছিল আমায় যাযাবর,
সপ্ত সিন্ধু পার হব, বুক বেঁধে এই আশায়,
হলাম আমি নাবিক সওদাগর।
ঘাটে ঘাটে পসরা ভরে হোল অনেক বেচাকেনা,
জমা খরচ হিসেব কষে, মিটিয়ে দিয়ে সকল দেনা,
নতুন করে ভেসেছি আজ অনেকদিনের পর।
রাতের তারার শামিয়ানা, ভোরের অরুনিমা,
পাখীর ঠোঁটে বয়ে আনা টুকরো শ্যামলিমা;
ছড়িয়ে আছে চলার পথে এমন যত মণি,
দুচোখ ভরে কুড়িয়ে তাদের, আজকে আমি
ধনী।
ভেসে আসা টুকরো গ্লানি, ঝড়ের রাতের
আঁধার,
তাদেরও রেখেছি তুলে ভান্ডারে আমার।
অপরাহ্নের শান্ত আলোয় স্পষ্ট
পরপার,
সন্ধ্যা হলে সেইখানেতে বাঁধব নোঙর।
মাটির বুকে পাতব শয্যা শেষের সেই
দিনে,
ঘাসের চাদর রাখবে ঢেকে পরম যতনে;
ঘাসের ফাঁকে রইবে ফুটে জমানো ধন
যত,
কাঁটাও কিছু হবে শোভা ফুলের মালার
মত।
©ananyapal2016
বিষয় চমৎকার...গভীরে নিয়ে যায়। আন্ত্যমিলের দিকেও একটু খেয়াল করবে কবিকে ঠেকায় কে! অনেকদিন পর নতুন কবিতার জন্য ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন